জাগো প্রহরী ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি-সন্ত্রাসী বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮টি প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নিয়েছে দেশটির মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন তালেবান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ইংরেজি ভাষ্যমতে এ পর্যন্ত জয় করা ১৮ প্রদেশের নামগুলো হলো: কান্দাহার, গজনী, হেলমান, নিমরুজ, ফারাহ, জুযজান, কুন্দুজ, বাদাখশান, তাখার, বালগান, সামনিগান, সারপুল, বাদগিস, গাওর, হেরাত, লস্করগাহ, সেবেরগান, বলখ।
একসময়ের ইসলামি সোনালি শাসনে আফগানিস্তান রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসা দেশটির মুক্তিকামী সংগঠন তালেবান এখন রাজধানী কাবুল দখলের জন্য তীব্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আফগান উর্দু সূত্রে জানা গেছে।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কাবুলকে বিচ্ছিন্ন এবং ৯০ দিনের মধ্যে দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে তালেবান। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা তাদের গোয়েন্দাদের তথ্যের বরাত দিয়ে রয়টার্সকে তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেছেন, কাবুলের পতন নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দারা নতুন মূল্যায়ন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জঙ্গি-সন্ত্রাসী বাহিনী আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ায় দেশজুড়ে তালেবানের দ্রুত অগ্রগতির ফলে কাবুলের ব্যাপারে ওই ভবিষ্যদ্বাণী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘এটি কোনও আগাম অনুমান নয়। তবে আমাদের সমর্থিত আফগান সরকার বাহিনী আরও প্রতিরোধ গড়ে তুলে গতি পরিবর্তন করতে পারে।’
এদিকে বুধবার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদাখশানের রাজধানী ফাইজাবাদের পতন হয়েছে তালেবানের হাতে; যা আফগান সরকারের জন্য সর্বশেষ ধাক্কা। তালেবানের হামলার গতি প্রতিরোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির আমেরিকার মদদপুষ্ট রাজাকার বাহিনী।
তালেবান একেবারে কাছাকাছি চলে আসায় একই দিন রাজাকার বাহিনীর প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশটির উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর মাজার-ই-শরিফ রক্ষার জন্য নিজেদের সমর্থিত পুরনো রাজাকার সৈন্যদের এক সমাবেশে যোগ দিতে সেখানে উড়ে যান।
বাদাখশানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য জাওয়াদ মুজাদিদি বলেছেন, মঙ্গলবার হামলা চালানোর আগে তালেবানরা ফাইজাবাদ অবরোধ করেছিল।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আফগান জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী (এএনডিএসএফ) কয়েক ঘণ্টার প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর পিছু হটেছে। ফাইজাবাদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আফগানিস্তানের রাজাকার বাহিনীকে হারিয়ে দেশের শাসন ক্ষমতা পুনর্দখল এবং ইসলামি সোনালী আইন জারির মাধমে দেশটির উন্নতি ও অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে লড়াই করে চলছে তালেবান।
জাগো প্রহরী/হাসান আল মাহমুদ
0 মন্তব্যসমূহ