মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন :
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতার এতো বছর পরে এসেও রাতে ছাদে ঘুমায় আর দিনে রাজনৈতিক দলের প্রোগ্রাম করে। আমি নিজেও ১ম বর্ষে মসজিদের বারান্দায় শুয়ে কাটিয়েছি।
শেখ মুজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, শেখ হাসিনাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। যেভাবেই হোক আওয়ামীলীগ সরকার ১২ বছর ধরে ক্ষমতায়। সরকার চাইলেই মুজিবের সম্মানার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪-৫ টা হল করে দিয়ে আবাসন সংকট কমাতে পারতেন।
কিন্তু তারা তা করবেন না, কারণ আবাসন সংকট দূর করে মেধা অনুযায়ী আসন বরাদ্দ দিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক দলের যে সমাবেশ হয়, সেখানে লোক হবে না। নিজেদের হীন স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো যখন যে ক্ষমতায় এসেছে গণরুম, গেস্টরুম টিকিয়ে রেখেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের দাস বানিয়ে রাখা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ গবেষণা হয় না, হয় তেলবাজি ও রাজনৈতিক দলের দাসত্ব করার চর্চা।
এই চর্চা কি কখনো আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে? পৃথিবীর যে দেশের শিক্ষাখাত যত বেশি উন্নত, সেই দেশ ততো বেশি উন্নত। আর আমরা শিক্ষার্থীদের 'সফট লোন' ও 'স্মার্টফোন' উপহার দিয়ে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার নামে ধোঁকাবাজি করি!
করোনাকালে কে পেয়েছে সফট লোন, কে পেয়েছে স্মার্টফোন?
এই জাতির বোধদয় হোক। এই জাতি যেদিন শিক্ষাখাত উন্নত করতে পারবে, সেদিনই দেশের উন্নতি হবে। তার আগে কিচ্ছু হবে না।
- মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন
ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক,ছাত্র অধিকার পরিষদ ৷
0 মন্তব্যসমূহ