১৯৯১ সালে বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিল: সেতুমন্ত্রীর ভাই


জাগো প্রহরী :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভাতের অধিকার দিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমি এ কথাগুলোই বলছি। বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আমি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ কাজ শুরু করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে পারেন। তার সক্ষমতা ও যোগ্যতা আছে। জিয়া ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল হ্যাঁ-না ভাট দিয়ে। অবশ্য বিএনপি ১৯৯১ সালে নিরপেক্ষ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিল। ১৯৯৬, ২০০৮ সালে ফেয়ার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। 

শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভার (৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড) মমিন ব্রাদার্সের বাড়ির দরজা, রামদী শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ও হক মার্কেটের সামনে  নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

পথসভায় আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমেরিকা থেকে বিমানবন্দরে এসে আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলেছি, আমি অন্যায়–অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। আমি কি এটা থেকে সরে যেতে পারব? পারব না। কে রাঘব, কে বহিষ্কার করার কথা বলে, কে জেলে দেওয়ার কথা বলে, কে মেরে ফেলার কথা বলে; মেরে ফেললে আমি কবর ঠিক করে রেখেছি। হাসরের দিন যারা এসব করছে, তাদের সঙ্গে দেখা হবে।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের পোষ্টার মাইজদি ও ফেনীর ষড়যন্ত্রকারীরা ছিঁড়ে ফেলেছে। বিএনপি-জামায়াত আমার পোষ্টার ছিঁড়ে নাই। আমাকে সত্য কথাগুলো বলতে হবে, না বললে তারা সংশোধন হবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, এগুলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে হবে। শেখ হাসিনা সাহসী নেত্রী, ১৭ বার ওনাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আল্লাহ ওনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। 

তিনি বলেন, 'রাজনীতিবিদদের বিচার হয়, এতে মানুষ খুশি। কিন্তু সরকারি আমলারা কি রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি সাথে জড়িত নয়। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এদেরও বিচার করা উচিত। ভোট চুরি আর দুর্নীতি, মাদকের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করা হোক।'

জাগো প্রহরী/এফজে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ