রোববার দিবাগত রাতে পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন জোবেদ আলী (৬১), রাজু (১৯), আনোয়ার হোসেন (৫৫), মানিক (২৬) ও মেরাজুল ইসলাম (১৭)। এর মধ্যে জোবেদ আলী বুড়িমারী মসজিদের খাদেম।
ওই ঘটনায় এর আগে শনিবার রাতে প্রথম দফায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে। তাঁর হলেন আশরাফুল আলম (২২), বায়েজিদ (২৪), রফিক (২০), মাসুম আলী (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (২৫)।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার অভিযোগে আবু ইউনুছ মো. সহিদুন্নবী জুয়েল (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
নিহত জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আবদুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।
ওই ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৩১ অক্টোবর পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন।
পরে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ এবং পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক আরো দুটি মামলা করে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) টি এম মোমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।
এর আগে মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী।
সোমবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আমলি আদালত-৩-এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগম।
এ ছাড়া গতকাল দিবাগত রাতে গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামিকে দুপুরে লালমনিরহাট জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত।
জাগো প্রহরী/এফআর
0 মন্তব্যসমূহ