দিনাজপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং তার বাবাকে সরকারি বাসভবনে ঢুকে কোপালো দুর্বৃত্তরা


জাগো প্রহরী : বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে ভাবে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুরে একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে সেখান থেকে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়।

ওই হামলার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের বাবাও গুরুতর আহত হয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তারা তাৎক্ষনিকভাবে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রাফে খন্দকার হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান বলেন, "বিষয়টা নিয়ে এখন একটা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আছি। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।"

উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনের ভেতরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, "ঠিক কখন এই হামলা হয়েছে সেটা আমরা জানি না। তবে আমি শুনেছি ভোররাতে দুর্বৃত্তরা তার বাসায় ঢুকে হামলা করেছে।"

তবে দুর্বৃত্তরা কিভাবে ইউএনও'র বাসায় ঢুকলো, সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানান মি. ইসলাম।

হামলার সময় ওয়াহিদা খানমের বাসায় তার বাবা এবং তার তিন বছর বয়সী সন্তান ছিলেন। ওয়াহিদা খানমের স্বামীও একজন সরকারি কর্মচারী এবং তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তৌহিদুল ইসলাম জানান, ওয়াহিদা খানমের বাবা হামলায় আহত হয়ে ভোরে বাইরে এসে স্থানীয় মানুষজনকে খবর দেন। এরপরই সবাই বিষয়টি জানতে পারে।

ঠিক কী কারণে এমন হামলার ঘটনা ঘটলো, তা এখনো কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ একজন কর্মকর্তার উপর এ ধরণের হামলা বাংলাদেশে অনেকটা নজিরবিহীন।

ঘোড়াঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রাফে খন্দকার  গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গুরুতর আহত ওয়াহিদা খানমকে রংপুর থেকে ঢাকায় আনার প্রস্তুতি চলছে।

ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে গুরুতর আহত ওয়াহিদা খানমকে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এটি কোন ডাকাতির ঘটনা নাকি শত্রুতার জের - এনিয়ে এখন পুলিশ তদন্ত করছে।

"আমি ডিসি সাহেবকে জিজ্ঞেস করেছি এ রকম কিছু হয়েছিল কি না, শত্রুতাবশত। ডিসি সাহেব বলেছেন, তাকে এ ধরণের কোন বিষয় কখনো জানানো হয়নি," বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

" কোন কিছু হলে একজন নির্বাহী কর্মকর্তা কিন্তু আলোচনা করেন জেলা প্রশাসকের সাথে। এ রকম কোন কিছু তার পক্ষ থেকে অবহিত করা ছিল না।"

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় স্থাপন করা ক্লোস সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

জাগো প্রহরী/এফআর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ