মহাসড়কে টোল নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার


জাগো প্রহরী : মহাসড়ক ব্যবহার করলে টোল নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। কীভাবে টোল নেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সবকিছু টোলমুক্ত হবে, তা ঠিক নয়। রাস্তাঘাট মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যাতে টোলের টাকা থেকে আসে, সেই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) টোল নেওয়ার পক্ষে।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় সড়ক নির্মাণ ও মেরামতের কোনো প্রকল্পে বিশ্রামাগার তৈরির জন্য বরাদ্দ না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরিবর্তে এক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে বিশ্রামাগার নির্মাণের পরামর্শ দেন তিনি।

একনেক সভায় দুটি সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উঠলে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন বলে জানা গেছে।

বিশ্রামাগার নির্মাণ না করা সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত ছিল না বলে ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে কোনো কর্মকর্তা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গেলে ওই দিন ফেরত আসতে পারতেন না। এ জন্যই সড়কের পাশে সরকারি উদ্যোগে বিশ্রামাগার তৈরি করা হতো। এখন যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। দিনে দিনেই বৈঠক করে কর্মস্থলে ফিরে আসতে পারেন। আজ একনেক সভায় তিন থেকে চার কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বিশ্রামাগার নির্মাণের বরাদ্দ কেটে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবারের একনেক সভায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪৬২ কোটি টাকার ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলো হলো ৫৯৫ কোটি টাকার ইমার্জেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট (প্রথম সংশোধিত); ৮৪৫ কোটি টাকার বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্ত করা; ৫২৪ কোটি টাকার দাউদকান্দি-গোয়ালমারী-শ্রীরায়েরচর (কুমিল্লা)-মতলব উত্তর (ছেঙ্গারচর) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীত করা; ৫২৬ কোটি টাকার খুলনা সড়ক জোনের আওতাধীন মহাসড়কে বিদ্যমান সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন কংক্রিট সেতু-বেইলি সেতুর স্থলে কংক্রিট সেতু নির্মাণ; ৭১২ কোটি টাকার তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন থেকে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ধুলিয়া লঞ্চঘাট হতে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা রক্ষা; ৫৩১ কোটি টাকার কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূর করা (দ্বিতীয় পর্যায়) এবং ৬১ কোটি টাকার গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প।


জাগো প্রহরী/এফআর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ