জাগো প্রহরী : দীর্ঘদিন আবাসিকে বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছিলেন সাধারণ জনগণ। পাইপলাইনের মাধ্যমে আবাসিকে (বাসা-বাড়ি) গ্যাস সংযোগের দুয়ার খুলছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌখিকভাবে এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। চলতি বছরের মধ্যেই গ্যাস সংযোগ দেয়া শুরু করার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, কী পরিমাণ বাসা-বাড়ি আছে, কী লাগবে, কী দিতে হবে, কী পরিমাণ আবেদন পেন্ডিং আছে। এগুলো নিয়ে আমরা এক্সারসাইজ করছি। এরপর আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিব।
সচিব বলেন, কয়েক বছর আগে ডিমান্ড নোট জমা দিয়েছিল, এমন একটা ক্যাটাগরি আছে। কিছু আছে ডিমান্ড ইস্যু করা হয়েছিল কিন্তু টাকা জমা হয়নি, কিছু আবেদন ছিল, কিছু আছে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে যাচ্ছে। এই চার ক্যাটাগরিতে কী সংখ্যক আছে, হয়তো ১০ শতাংশ কম বেশি হবে। এর সঙ্গে আমাদের পজিশন কী, এই চার ক্যাটাগরিতে সংযোগের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ গ্যাস লাগবে, কতজনকে আমরা সংযোগ দিতে পারব, কী পরিমাণ গ্যাসের সংস্থান আমাদের আছে। এগুলো বিবেচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা মোকদ্দমাও হয়েছিল, এ বিষয়ে অর্ডারও আছে। সবকিছু নিয়ে যাচাই-বাছাই করে তারপর এগোব কীভাবে কী করা যায়। তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা তার সঙ্গে আলোচনা করেছি, সবকিছু বিস্তারিতভাবে এক্সারসাইজ করে প্রস্তাব পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চ‚ড়ান্ত অনুমোদন নেয়া হবে।
জ্বালানি সচিব বলেন, আমরা আশা করছি আগামী কিছুদিনের মধ্যেই একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব। দ্রুত কিছু করার চেষ্টা করব, যাতে কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু করা যায়।’ আমরা একটা কর্মপদ্ধতি ঠিক করব কীভাবে এটা করব। একসঙ্গে সবাইকে দিতে (গ্যাস সংযোগ) পারব না, ধীরে ধীরে দেয়া হবে
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে শিল্প ও বাণিজ্যিকে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়। এরপর ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে আবাসিকেও নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করা হয়। ২০১৩ সালের ৭ মে আবাসিকে সংযোগ দেয়া শুরু হলেও কিছুদিন পর তা আবার বন্ধ করে দেয়া হয়। সারাদেশে ছয়টি সরকারি কোম্পানি গ্যাস বিতরণ করে। এগুলো হলো- তিতাস, কর্ণফুলী, পশ্চিমাঞ্চল, জালালাবাদ, বাখরাবাদ ও সুন্দরবন। সারাদেশে বৈধ আবাসিক গ্রাহক ৩৮ লাখ। তাদের মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নরসিংদী, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জে মোট ২৭ লাখ গ্রাহকের কাছে গ্যাস সরবরাহ করছে তিতাস গ্যাস।
জাগো প্রহরী/এফআর
0 মন্তব্যসমূহ