ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৮জন আলেমসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা; প্রতিবাদে সরব ফেসবুক

যাদের নামে মামলা দায়ের করা হয় তাদের নাম ও ছবি, ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ৷

জাগো প্রহরী : চট্টগ্রাম শহরে ওসমান কাশেম ও তানভির আহমদ নামক দুই যুবকের উপর অজ্ঞাত কিছু লোকের হামলার পর ঢাকা ও চট্টগ্রামের আটজন আলেম উলামাসহ মোট নয়জন এবং অজ্ঞাত ১০-১২জনকে আসামী করে চট্টগ্রাম চাঁদগাও থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বাদি হন হামলা আক্রান্ত হওয়া ওসমান কাশেম নিজেই। এ মামলাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত  ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। উক্ত মামলায় হাটহাজারী উলামা পরিষদের কয়েকজনের নাম থাকায় তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। অনতিবিলম্বে সকল উলামায়ে কেরামের নামে করা মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ মামলার প্রতিবাদে আগামী সকাল এগারটায় ‘সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ হাটহাজারী’ একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে উক্ত মামলার নয় নাম্বার আসামী মুফতি আমিনি রহ. -এর নাতি মাওলানা আশরাফ মাহদি বাংলাদেশ থেকে মিশর যাওয়ার পথে বাংলাদেশ বিমানবন্দরে কোনো সমস্যা না হলেও তিনি আটকা পড়েন দুবাই এয়ারপোর্টে। গতকাল আজ পর্যন্ত তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। তাকে বাংলাদেশে ফেরত দেয়ার কথা রয়েছে। সূত্র জানায়, দুবাই বিমানবন্দরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি মেইল আসে। সেখানে মাহদিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়। মাহদির নামে মামলা থাকার কথাও উল্লেখ করেন তারা। তবে এ মামলার কোনো ধরনের নোটিশ এখনও পর্যন্ত কোনো আসামী কাছে পাঠানোর খবর পাওয়া যায়নি। মাওলানা আশরাফ মাহদি মিশর জামিয়া আল আজরের শিক্ষার্থী। তিনি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে মিশর যাত্রা করেন।

মাওলানা আশরাফ মাহদিকে দুবাই বিমানবন্দরে আটকে রাখা এবং আলেমদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশর শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম

মাওলানা মামুনুল হক তার ভেরিফাই ফেসবুক পেইজে লিখেন-
‘আশরাফ মাহদীর ঘটনা গোটা কওমি মহল ও বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতির অঙ্গনকে ভাবিয়ে তুলেছে ৷ কোন পথে হাঁটছি আমরা ? চলমান সংকটকে কেন্দ্র করে ঘটনা যেভাবে ডালপালা মেলছে, তাতে কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ায় বলা মুশকিল ৷ একটি ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত ইসলামী পরিবারের একজন উচ্চশিক্ষার্থী মেধাবী সন্তান শিক্ষার জন্য বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বিদেশ থেকে তাকে ধরে আনা-মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো ঘটনা মনে হচ্ছে ৷ যে মামলার বরাত দিয়ে তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেই মামলাটি আরেক রহস্যময় ঘটনা ৷ আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে যে মামলার আরজিতে “অপকর্ম”কারী বলা হয়েছে ৷ যে মামলার বাদীর ব্যক্তিগত যোগাযোগ নাম্বার হিসেবে প্রদত্ত নম্বরটি নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য ৷ তথ্যটি যদি আসলেই সত্য হয়ে থাকে তাহলে নেপথ্য নায়কদের পরিচয় প্রকাশ হতে আর কিছুর দরকার পড়ে না ৷

ঘটনাপ্রবাহে মোটাদাগে যে কথাগুলো বুঝতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়-
১) ওসমান কাশেম নামক ব্যক্তির উপর হামলা ও সেই ঘটনাকে পুঁজি করে দেশের স্বনামধন্য আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের তাদের পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা ৷
২) আশরাফ মাহদী যে অভিযোগগুলো করেছে সেই অভিযোগগুলোর যুক্তিগ্রাহ্য জবাব দেয়া কিংবা এড়িয়ে যাওয়ার পরিবর্তে মামলা ও জুলুমের পথ বেছে নেয়া সেই মহলটির নৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ ৷
৩) কারো মনে হতেই পারে, যারা তুচ্ছ ফেসবুকের লেখাকে কেন্দ্র করে এত মারমুখী ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, অতীতে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সত্য হবে না কেন?
৪) কওমির ব্যাপক ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে গুটি কয়েকের একটি অনৈতিক চক্রকে প্রতিপালন ও সহযোগিতা করছে কোন একটি মহল, দুবাই পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার মত লম্বা যাদের হাত ৷
৫) এমন মামুলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের সন্তানের বিরুদ্ধে যারা এতটা হিংস্র হয়ে উঠতে পারে তাদের দ্বারা কী হওয়া সম্ভব, এই প্রশ্নের চেয়ে তাদের পক্ষে কী অসম্ভব ? এমন প্রশ্নই এখন অধিক যুক্তিসম্মত মনে হয় ৷

যে আগুন জ্বালানো হলো, জানি না শেষতক এ আগুন নেভাতে কত লাঞ্চনা অপমান আর জিল্লতির মাশুল গুণতে হয় ৷ রহম কর মাবুদ ৷’

কবি মুসা আল হাফিজ লিখেন-

“আমি তাঁর মতো মেধাবী ও বিনয়ী তরুণ আলেম কমই দেখেছি। মাহদির সাথে আমার আলাপগুলো আমাকে শুধু আশাবাদী করতো না, উদ্দীপ্ত করতো। বিগত কয়েক মাস ধরে যোগাযোগ হচ্ছিলো না। সেদিন ম্যাসেজ দিয়েও সাড়া মিলেনি।
মাহদি এখন বদনজরের সম্মুখীন। রাষ্ট্রিয় নিপীড়নও নেমে আসতে পারে। মাহদিকে আমি যতটা জানি, জেনে বুঝেই মাহদি এ আগুনে ঝাপ দিয়েছেন। কারণ বিক্রিতি ও বিকৃতির এ মচ্ছবে কাউকে না কাউকে তো রুখে দাঁড়াতে হবেই।

এটি সাহসিকতা। কিন্তু মাহদি বিবেচনাবর্জিত নন। তার বিশেষ এক দিক হচ্ছে রাজনৈতিক সচেতনতা ও দৃষ্টি এবং নেতৃত্বগুণ।

মাহদি হয়তো জেলে যাবেন। নিপীড়ন বয়ে যাবে তার উপর দিয়ে। কিন্তু সমুদ্রে যে বিছানা পাতে, শিশিরে তার ভয়ের কী আছে? কওমির তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বের একটি জায়গায় মাহদির প্রতিষ্ঠা হয়তো সামনে দেখতে পাবো। এটা হতে হবে রাজনৈতিকভাবে।
প্রতিবাদগুলোকে সংগঠিত করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে যদি বিবেচনাসম্পন্ন তারুণ্যের নতুন শক্তি মাথা তুলে,এটা হবে বিপর্যয় থেকে পাওনা।”

মুফতি হারুন ইজহার বলেন-

শুরু হলো মামলা,আটক, হয়রানি। সাবাস দালালচক্র সাবাস! হজরত মুফতি আমিনীর (রাহ.)’র নাম ভেঙ্গে জাতে উঠা অজাতগুলো তাঁরই পরিবারের তিনজনকে এবং হাটহাজারী হেফাজতের তরুণ নেতৃবৃন্দ ও চট্রগ্রাম মহানগর থেকে আমাকে আসামি করে মামলা করলো! ইতোমধ্যে মিশর আল আযহারের শিক্ষার্থী আশরাফ মাহদীকে দুবাই বিমানবন্দরে আটকিয়ে রাখার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমরা নাকি – “জুনাঈদ বাবুনগরী হুজুরের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় ‘ওসমান’ নামক এক বালককে পিটিয়েছি! বার্তা কি ক্লিয়ার?”

মাওলানা গাজী ইয়াকুব বলেন- 

”চট্টগ্রামের মামলা প্রত্যাহার এবং স্নেহের আশরাফ মাহদীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন এর মাঝেই সকলের মঙ্গল নিহিত রয়েছে “

এ ছাড়াও আরো অসংখ্য উলামায়ে কেরাম মামলাটির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

উক্ত মামলা যাদের আসামী করা তারা হলেন-

১। মুহাম্মাদ আহসান উল্লাহ (৪৫), থানা- হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রাম।
২। মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী (৩৫), শিক্ষক: লালবাগ মাদরাসা, ঢাকা।
৩। মাওলানা জুবায়ের আহমদ (৫৫), শিক্ষক: লালবাগ মাদরাসা, ঢাকা।
৪। মুফতী হারুন ইজহার (৪৮), লালখান বাজার মাদরাসা, খুলশী, চট্টগ্রাম।
৫। মাওলানা মুহাম্মাদ আসাদ উল্লাহ (২৮), থানা- হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রাম।
৬। মাও: মীর মোহাম্মদ ইদরীস (৫২), থানা- হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রাম।
৭। মাও: কামরুল ইসলাম (৩০), থানা- হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রাম।
৮। মাও: জাকারিয়া নোমান ফয়জী (৩২), মেখল মাদরাসা, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
৯। মাওলানা আশরাফ মাহদী (২৮), থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা- ঢাকা।

মামলার এজহারে বাদি অভিযোগ করে বলেন–

“হাটহাজারী থানাধীন দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার (বড় মাদরাসা) দীর্ঘ ৩৫ বছরের অধিক সময় যাবত শূরা কমিটি কর্তৃক মনোনীত মহাপরিচালক এবং হেফাজতে ইসলামের মহামান্য আমীর ও বেফাক চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি হুজুর কিছুদিন পূর্বে শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় বর্ণিত বিবাদীগণসহ তাহাদের কতিপয় অনুসারী আল্লামা শাহ আহমদ শফি হুজুরের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করাসহ জোর পূর্বক ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় লিপ্ত হয়। আমিসহ আল্লামা শাহ আহমদ শফি হুজুরের অনুসারী তথা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নেতাগণ বিবাদীদের উক্ত অপপ্রচার ও জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানোর কারণে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছিল। গত ১৮/০৭/২০২০ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৪০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাহার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হইতে আমার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৮৩০-০৯৪৬৬২ তে ফোন করিয়া আমার অবস্থান জিজ্ঞাসা করতঃ মিলাদের দাওয়াতের কথা বলার জন্য আমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করে। আমি পাঁচলাইশ থানাধীন বহদ্দারহাট মসজিদে নামায আদায় করিয়া তাহার সাথে দেখা করার আশ্বাস প্রদান করি। পরবর্তীতে একই নাম্বার হইতে সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকায় পুনরায় আমাকে ফোন করিয়া আমার অবস্থান বহদ্দারহাট জামে মসজিদ নিশ্চিত হইয়া অজ্ঞাতনামা ০২ জন ব্যক্তি উক্ত মসজিদের সামনে আসিয়া আমার সাথে দেখা করে এবঙ চান্দগাও থানাধীন ওয়াপদা কলোনীতে উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বাসায় গিয়া মিলাদে মোনাজাত করার জন্য অনুরোধ করে। বিবাদীদ্বয়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সরল বিশ্বাসে আমি ও আমার সঙ্গীয় তানভীর মাহমুদ (২২), পিতা- মাওঃ আব্দুস সালাম, সাং- সরল, থানা- বাশখালী, জেলা- চট্টগ্রামসহ উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের সাথে তাহাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইয়া সন্ধ্যা অনুমান ০৭.২০ ঘটিকায় ঘটনাস্থল চান্দগাও থানাধীন ওয়াপদা কলোনীতে অবস্থিত মসজিদ গেইট পার হওয়ার সাথে সাথে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদ্বয় তাহাদের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পূর্ব হইতে উতপেতে থাকা অবস্থা হইতে আকষ্মিকভাবে আমাদের গতিরোধ করতঃ আমরা আল্লামা আহমদ শফি হুজুরের পক্ষ হইয়া জুনায়েদ বাবুনগরী হুজুরের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাইয়া কেন ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিবাদ করিয়াছি বলিয়া অজ্ঞাতনামা সকল বিবাদীগণ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে লোহার রড ও গাছের বাটাম দিয়া মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলাফুলা ও আমার নাকের হাড় ভাঙা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার সঙ্গীয় তানভীর মাহমুদ আগাইয়া আসিলে অজ্ঞাতনামা সকল বিবাদীগণ আমার সঙ্গীয় তানভীর মাহমুদকে এলোপাতাড়িভাবে লোডার রড ও গাছের বাটাম দিয়া মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলাফুলা ও তাহার মাথার বামপাশে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে বিবাদীগণ আমার পরিহিত পাঞ্জাবীর ডান পকেটে নগদ ৬,০০০/- এবং আমার হাতে থাকা ১টি VIVO Y9 মোবাইল ফোন, যাহার সেল নং- ০১৮৩০-০৯৪৬৬২, মূল্য অনুমান ১৬,০০০/- এবং আমার সঙ্গীয় তানভীর মাহমুদ এর পরিহিত পাঞ্জাবীর ডান পকেটে থাকা নগদ ৩৫০০/- টাকা জোরপূর্বক নিয়া নেয়। শোর চিৎকার শুনিয়া আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে দেখিয়া ঘটনার বিষয়ে মামলা-মোকদ্দমা করিলে পরবর্তীতে তাহাদের দলবল নিয়া আমাদেরকে খুন করিবে মর্মে হুমকি দিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল হইতে পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় আমি ও আমার সঙ্গীয় তানভীর মাহমুদ চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, উপরোক্ত ১নং হইতে ৯নং বিবাদীদের নির্দেশে ও হুকুমে অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ ঘটনার তারিখ ও সময় মিলাদের মোনাজাতের কথা বলিয়া আমাকে ও আমার সঙ্গীয় তানভীর মাহমুদকে বর্ণিত ঘটনাস্থলে নিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মারধর করিয়া জখম করাসহ নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়া নেয়। চিকিতসা কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং আমার সিনিয়র হুজুরদের সাথে আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।“

বাদি পক্ষের বক্তব্য-

সংবাদ তৈরি পূর্বে তথ্য সংগ্রহের জন্য বাদি ওসমান কাশেমের নাম্বার যোগাযোগ করা হয়ে অন্য একজন ফোন রিসিভ করেন। মামালা সম্পর্কে বাদীর বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোন করা হয়েছে বলা হলে তিনি ওসমান কাশেম ব্যস্ত আছেন বলেই ফোনটি রেখে দেন। এরপর ইমু ও ম্যাসেনজারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি৷


মামলার এজহারে বাদির নামের শেষে যে নাম্বারটি দেয়া সেটি ওসমান কাশেমের নাম্বার নয় বলে নিশ্চিত হয় জাগো প্রহরী। নাম্বারটি হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুইনুদ্দিন রুহীর। কেন বাদির নাম্বার স্থলে অন্যজনের নাম্বার দেয়া হয় সেটি জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় মাওলানা রুহীর সাথে। তিনি বলেন, মামলার এজাহারে আমার নাম্বার আছে এটি মাত্র আপনার কাছ থেকে শুনলাম। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মামলা সম্পর্কে উনার কোনো অবগতি আছে কিনা জানতে চাইলে মাওলানা রুহী বলেন, এ বিষয়ে আমিও কিছু জানি না। মামলার এজাহারে উনার নাম্বার এবং মামলা সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ অবগত নন বলে জানান।

জাগো প্রহরী/এফআর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ