জাগো প্রহরী : কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর দায়িত্বশীলদের অনেকের ফোনালাপ ফাঁস ও বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে সরগরম ফেসবুক অঙ্গন। গত প্রায় ১৫/২০ দিন ধরেই কওমী অঙ্গনের ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্টরা এ বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে কথা বলে আসছেন।
এর মধ্যে বাংলাদেশে কওমী মাদরাসা শিক্ষার সর্ববৃহত এই বোর্ডটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফের সাথে বিভিন্ন সময়ে কওমী মাদরাসার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের সাথের বেশকিছু ফোনালাপ প্রকাশ পেয়েছে ফেসবুকে। বেফাকের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা বেশকিছু অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেসব কল রেকর্ড বেফাকের পরীক্ষার পরিচালক মাওলানা আবু ইউসুফ এর সাথে বিভিন্নজনের বলা। যার মধ্যে একটি রয়েছে বেফাকের পরিদর্শক মুফতি মুহাম্মাদ তোয়াহার।
এসব নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনার মধ্যেই গত ১৪ জুলাই বেফাক অফিসে খাস কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো বেফাকের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে দেয়া। কিন্তু তারপরও ফেসবুকের একদল কওমি তরুণরা এ বিষয়ে তাদের অভিযোগ সরায়নি বরং আরও অনেকের শাস্তি দাবি করে কোন একটি অজানা মহল বায়তুল মোকাররমের মানববন্ধনের ডাক দিয়েছিল গত শুক্রবার। কিন্তু পরবর্তীতে মানববন্ধনের সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়। অপরদিকে এরইমধ্যে বেফাকের দায়িত্ব থেকে বহিস্কৃত হওয়া বেফাকের সিনিয়র পরিদর্শক মুফতী মুহাম্মাদ তোয়াহা তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নিয়ে একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত বেফাক থেকে আমাকে বহিস্কারের বিষয়টিতে তেমন কোন আইন মানা হয়নি এবং বেফাকের নীতি বা কাউকে বহিস্কার বিষয়ে যা নিয়ম ফলো করা উচিত তা করা হয়নি। তাছাড়া আমার ব্যাপারে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট বেশিরভাগ অভিযোগের সাথে বিভিন্ন কারণে আমি সংযুক্ত থাকার সুযোগ নেই এ বিষয়ে আমি আমার বিস্তারিত ব্যাখ্যা বর্ণনা করছি।
বিস্তারিত বর্ণনায় লেখেন, বেফাকসহ গোটা কওমি অংগনে দালাল ও দুর্নীতিবাজমুক্ত করার জোর আন্দোলন শুরু হয়েছে। সচেতন কওমিয়ানদের বিশাল একটা অংশ এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাই কওমি অংগন দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত হোক। কারণ দূর্নীতিগ্রস্থ কোন প্রতিষ্ঠান জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।
বেফাকের চলমান ইস্যুতে আমার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আবু ইউসুফ সাহেবের মধ্যকার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এর উপর ভিত্তি করে আমাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মাদারেসে কওমিয়্যা ও বেফাকের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে এব্যাপারে চুপ থাকাই সমিচিন মনে করেছিলাম। কিন্তু একটা গ্রুপ অন্যদের সাথে মিলিয়ে আমার বিরুদ্ধে অনেক বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করছেন। ফলে ওইসব ভুয়া ও মিথ্যা অভিযোগের জবাব দেয়া জরুরি মনে করছি।
মাওলানা তোয়াহার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহ:
১) বেফাকের অর্থ আত্মসাৎ
২) হাটহাজারি হুজুর পক্ষীয় চক্রের একজন
৩) মুহতারাম মহাসচিব ও পরিক্ষা নিয়ন্ত্রকের দাবার গুটি
৪) শ্রদ্ধেয় মামাজান মরহুম শাইখুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী রহ.’র ভুল বুঝাতাম।
৫) স্বল্পপেন্নাই মাদ্রাসার প্রশ্নপত্র ফাঁসে আমি জড়িত
৬) গতবছর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা আমার মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়া হয়।
অভিযোগের জবাবে তিনি যা বলেছেন:
১ম অভিযোগ (বেফাকের অর্থ আত্মসাৎ) বিষয়ে তিনি বলেন –
বেফাকের খেদমতে নিয়োজিত আছি ১২ বছর যাবত। আমার নিয়োগ হয়েছে পরিদর্শক (নিম্ন) হিসেবে। পরিদর্শকরা বেফাকের আভ্যন্তরীণ কোন অর্থ লেনদেনের সাথে যুক্ত নন। সুতরাং আভ্যন্তরীণ কোন অর্থ আত্মসাতের সুযোগ নেই। তারা বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে প্রাপ্ত টাকা রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করেন এবং অফিসে জমা দেন। এখানেও টাকা আত্মসাৎ করার কোন সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন – আমি বরং বেফাকের সবচেয়ে দূর্নীতিপ্রবণ সেক্টর তথা প্রকাশনা বিভাগে দেখাশোনা করে বেফাকের কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি থেকে বাঁচিয়েছি এবং নিজ জিম্মাদারিতে প্রকাশনার কাজ করে ১৪৪০ হিজরিতে লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বর্ণনায় তিনি লিখেন –
(ক) আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বেফাকের বইগুলো বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে অবৈধভাবে ছাপে। এতে বেফাকের প্রচুর লস হয়। দীর্ঘদিন যাবত কর্তৃপক্ষ এদেরকে ধরতে পারেনি। ১৪৩৯ হিজরিতে প্রকাশনা বিভাগে অতিথি কর্মী হিসেবে আমাকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়ার পর বেশ কিছু প্রকাশনাকে হাতেনাতে ধরি এবং মজলিসের আমেলার পক্ষ থেকে মাওলানা মুসলেমউদ্দীন রাজু সাহেবের প্রস্তাবনায় আমাকে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা এবং পদোন্নতি দিয়ে পরিদর্শক (উচ্চ’র) মর্যাদা দেয়। অথচ অপপ্রচারকারীরা বলছে আমি লবিং করে পদোন্নতি নিয়েছি৷ তাদের এ মিথ্যা অভিযোগ প্রমানের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছি।
(খ) আপনারা জানেন প্রতিবছর বেফাকের বই বাজারে ঘাটতি দেখা দেয় এবং তুলনামূলক লাভ কম হয়। বোর্ড ১৪৩৯ হিজরির অবৈধ ব্যবসায়ীদের ধরে দেয়ার বিষয়ে খুশি হয়ে ১৪৪০ হিজরিতে আমাকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিলে বিগত সময়ের তুলনায় বইও ছাপা হয় বেশি,লাভও হয়েছে অনেকবেশি! অথচ খরচ হয়েছে অনেক কম!
নিচের শুমারিতে লক্ষ্য করুন – ১৪৩৯ হিজরি ও ১৪৪০ হিজরির তুলনামূলক হিসেব তুলে ধরা হল-
১৪৩৯ হিজরি – বই ছাপা হয়েছে প্রায় ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার,খরচ ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা,লাভ ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা অর্থাৎ ৬২% পার্সেন্ট। ওয়েস্টেজ ১০-১২%।
১৪৪০ হিজরি – বই ছাপানো হয়েছে ৪২ লাখ ৯১ হাজার,খরচ ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, লাভ ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা অর্থাৎ ৯২%। ওয়েস্টেজ মাত্র ৪-৫%।
এখানে লক্ষ্য করুন ১৪৪০ হিজরিতে ১৪৩৯ হিজরির তূলনায় ৪লাখ বই বেশি ছাপানো হয়েছে অথচ খরচ হয়েছে কম! লাভ হয়েছে বেশি প্রায় দুই কোটি টাকা! অথচ ওই দুবছর কাগজের মান ও মূল্য ছিল সমান!
২য় অভিযোগ (হাটহাজারী হুজুরের পক্ষীয় লোক) সম্পর্কে তিনি বলেন-
এখানে পক্ষীয় অভিযোগ অমূলক, অবান্তর, অবাস্তব।বরং বিভিন্ন পক্ষ দাবী উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বেফাক একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। হাটহাজারীর হজরত বেফাকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সারাদেশের উলামায়ে কেরামের সমর্থনে। আমি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের বেতনভুক্ত লোক। বোর্ডের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ীই আমি চেয়ারম্যানের অনুগত ও অনুরক্ত হওয়াই যুক্তিযুক্ত। বরং তার বিরোধিতা অন্যায়। হ্যাঁ, চেয়ারম্যান মহোদয়ের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন দূর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আসলে এনিয়ে বেফাক সিদ্ধান্ত নিবে। এখানে আমি কোন পক্ষাবলম্বনের সুযোগ নেই, প্রয়োজনও নেই। আজ পর্যন্ত কেউ কি হাটহাজারি হুজুরকে এধরণের কোন অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পেরেছেন?
বরং এখানে এ পক্ষীয় উল্লেখ করাটাই বেফাকের যতসব সমস্যার কারণ। বেফাকে খেদমতের দীর্ঘ এক যুগে এমন বাজে পরিস্থিতি হতে কখনো দেখিনি। কারণ তখন বিভিন্ন পক্ষের ব্যাপার ছিলনা। বরং সবাই নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতেন। সুতরাং আজ যারা পক্ষ বিপক্ষ সৃষ্টি করে বেফাকের ক্ষতি সাধন করে নিজের দায় অন্যের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন, সময় হলে তাদের সবার মুখোশ উম্মোচন করবো, ইনশাআল্লাহ।
৩ ও ৪ নং অভিযোগ (মহাসচিব ও পরিক্ষা নিয়ন্ত্রকের দাবার গুটি) এর জবাবে তিনি বলেন –
দাবার গুটি’র কথাটা অস্পষ্ট। এরমানে যদি এই হয় যে, আমি তাদের কথায় ওঠাবসা করেছি,বেফাকের বিভিন্ন কাজ করেছি। তাহলে এটা আমি মেনে নিচ্ছি বরং আমি এটা করতে বাধ্য। প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের কারণেই আমি তাদের কথা মানতে বাধ্য।
এখন উনাদের বিরুদ্ধে আনিত কোন বিষয়ের সাথে যদি আমার সংশ্লিষ্টতার দাবী করা হয় তাহলে সুনির্দিষ্ট ও সুনিশ্চিত পয়েন্ট উল্লেখ করা হোক। আমি জবাব দিব,ইনশাআল্লাহ।
বাকী থাকল, মামাকে (আল্লামা আশরাফ আলী রহ.) ভুল বুঝানো।
অভিযোগকারীদেরকে চ্যালেঞ্জ করে বলবো মামাকে কখন কি ভুল বুঝিয়েছি, সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করুন। অস্পষ্ট, অহেতুক ও মিথ্যা অভিযোগ আরোপের কারণে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে বরং আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই মামার সাথে সম্পর্কের বিষয়ে চুপ থাকাই সমিচিন মনে করতাম।বরং পরিচয় বিষয়ে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতাম।
হ্যাঁ, কখনো কারো একান্ত প্রয়োজনে কোন উপকার হলে সেটা করার চেষ্টা করেছি। যেমন বেফাকের মহাপরিচালক মুহতারাম মাওলানা যুবাইর চৌধুরি সাহেবের বিরুদ্ধে রাজাকারের অভিযোগ আনা হয় এবং মামলা করা হয়। তখন তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমি উনাকে নিয়ে মামাজানের কাছে গিয়েছি।
৫ নং অভিযোগ (স্বল্পপেন্নাই মাদ্রাসার প্রশ্নপত্র ফাঁস) এর জবাবে তিনি বলেন – বেফাকের নিয়মনীতি সম্পর্কে অবগত যে কেউ জানেন বেফাকের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রনের দুটি পদ্ধতি রয়েছে।
ক) সরাসরি বেফাক পরিচালনা
খ) জোন ভিত্তিক পরিচালনা ।
সরাসরি বেফাক নিয়ন্ত্রিত কোন পরিক্ষা কেন্দ্রে জোনের দায়িত্বশীলের জিম্মাদারী থাকে না। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত ছিল,আমি ছিলাম জোনের জিম্মাদার। আমার কিছু করার সুযোগ না থাকায় কেন্দ্র থেকে উক্ত বিষয়ে তদন্ত করার জন্য মাওলানা মুহাম্মাদ হোসাইন, সহঃপরিচালক প্রকাশনা বিভাগ ও কুমিল্লা বেফাকের জিলা সেক্রেটারি কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস দা.বা.দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। আমাকে মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস সাহেব সাথে যাওয়ার জন্য বললে আমি সফরসঙ্গী হিসেবে গিয়েছি মাত্র। এখানে আমার কোন ভুমিকা রাখার প্রয়োজন ও সুযোগ ছিল না। সুতরাং এখানে আমার সম্পৃক্ততার দাবী অমুলক, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
৬ নং অভিযোগ ( গতবছরের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ধামাচাপা দেয়া) এর জবাবে বলেন –
এটা একটা চুড়ান্ত মিথ্যাচার এবং আমার একটি বিশাল সফলতাকে ম্লান করে দেয়ার চক্রান্ত মাত্র। গতবছর যখন প্রশ্নফাঁস নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড়। কেউ কোন কুল কিনারা করতে পারছিলনা। তখন আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। অত্যন্ত চেষ্টা তদবিরের পর বহুকষ্টে ওই চক্রটিকে আমরা ধরতে সক্ষম হই।
আমার সাথে যারা যারা ছিলেন-
১) মাওলানা মুহাম্মাদ ইলিয়াস, পরিদর্শক বেফাক
২) ক্বারি আব্দুল আউয়াল,দাঈ বেফাক
৩) মুফতী মুহাম্মাদ তোয়াহা, পরিদর্শক বেফাক
আমরা এ ৩ জনই ছিলাম।
আমরা এ অপারেশনটি ওই এলাকার চেয়ারম্যান সাহেবের মাধ্যমে সম্পন্ন করি। তিনিই সবকিছু করেন এবং লিখিত দেন। ওইসময় অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।
যেহেতু আমাদের জিম্মাদারি ছিল শুধুই তথ্য উদঘাটন ও চক্রটিকে গ্রেফতার করা,তাই আমরা অতটুকুনই করেছি। এর বাহিরে কিছু করার জিম্মাদারি বা ক্ষমতা কোনটাই আমাদের ছিলনা। নির্বাহী কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার মত ক্ষমতা বা সুযোগ আমাদের নেই। সুতরাং প্রশ্নফাঁস পরবর্তী সিদ্ধান্তের দায় আমার উপর চাপানোর সুযোগ নেই। আমার যতটুকু দায়িত্ব ছিল অতটুকু করেছি এবং এ বিষয়ক যাবতীয় কাগজপত্র বেফাকে জমা দিয়েছি।
বিঃদ্রঃ প্রকাশিত ফোনালাপটি ১ বছর আগের। ফোনালাপের পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের কোথাও আমার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়নি এবং আমাকে নোটিশও করা হয়নি। অভিযোগ আনা হলে এর যথাযথ জবাব দেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত, ইনশাআল্লাহ।
তিনি এ বিষয়ে উলামায়ে কেরাম ও সচেতন মহলের কাছে অনুরোধ করে বলেন – কেউ কোন অপরাধ করলে অবশ্যই তার শাস্তি হওয়া উচিৎ। আমার কোন অপরাধ প্রমাণিত হলে এ শাস্তি মেনে নিতে আমার কোন সমস্যা নাই। কিন্তু সেটা অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিকভাবে হওয়া উচিৎ।
জাতির কাছে প্রশ্ন হল, বেফাক আমাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিল অথচ আমার ব্যাপারে আনিত অভিযোগ নিয়ে বেফাক আমাকে কখনো অবগত করেনি, জবাবদিহিতাও চায়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কোন কিছু না বলে এবং জবাবদিহিতার সুযোগ না দিয়ে একতরফা বহিস্কারের রায়ের মানে কী? সচেতন উলামা তোলাবা এবং বেফাক মুরুব্বিদের নিকট প্রশ্ন, ক্বাযা আলাল গায়েব জায়েয আছে কী? না থাকলে এ সিদ্ধান্ত বৈধ হয় কী করে? ইনসাফের আদালতে বিচার চাই।
জাগো প্রহরী/এফআর
0 মন্তব্যসমূহ