রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫ পাটকল ও কারখানা বন্ধের উদ্দেশ্য লুটপাট: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল


জাগো প্রহরী : রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি চালু পাটকল ও পাট সংশ্লিষ্ট কারখানা বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। নেতারা বলেছেন, এসব প্রতিষ্ঠান পাব্লিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) নামে সরকার লুণ্ঠনের নতুন আয়োজন করেছে।


শুক্রবার ( ২৬ জুন ) এক বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধোত্তরকালে পাকিস্তানিদের পরিত্যক্ত পাটকলগুলো 'সমাজতন্ত্রের' নামে রাষ্ট্রায়ত্ত করার পরে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক যোগসাজশে এসব পাটকলে চলে দুর্নীতি ও অবাধ লুণ্ঠন। আশির দশকে লোকসানের অজুহাত তুলে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে এসব পাটকল বি-রাষ্ট্রীয়করণ করা হয় ও আরেক দফা লুণ্ঠনকর্ম সম্পন্ন হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে পাটশিল্পের শতকরা ৯৫ ভাগ ব্যক্তিমালিকানাধীন ও লাভজনক। শতকরা ৫ ভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাটকল 'লোকসান' দিয়ে চলেছে। সরকার কথিত এই 'লোকসান' যে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক যোগসাজশে ঘটে চলা দুর্নীতিরই ফলাফল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে ২৫ হাজার শ্রমিককে কর্মচ্যুত করে পাব্লিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের নামে লুণ্ঠনের আয়োজন চলছে।

বিবৃতিতে ২৫টি পাটকল বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত ও ২৫ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসহ জনগণের সম্পদ লুটপাটকারী শাসকগোষ্ঠীকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের লড়াই জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়৷

জাগো প্রহরী/গালিব

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ