করোনাকে দেবতা মেনে পূজা শুরু ভারতে


জাগো প্রহরী : করোনাভাইরাস নিয়ে ভারতে একের পর এক হাস্যকর ঘটনার জন্ম দিচ্ছে হিন্দুরা। ‘অভিশাপ’ সাব্যস্ত করে ভারতের মন্দিরে নরবলির ঘটনা ঘটেছে। ঘটেছে আরও নানা কীর্তন-যজ্ঞের ঘটনাও। গোমূত্র খেলে করোনা সেরে যায় বা গোবরে গোছল করলে করোনা সারে এ ধরণের আজগুবি কাজও চলছে ভারতে।

এবার আর একদল এসে করোনাকে দেবতা বা ‘দেবী মা’ মেনে দলবেঁধে পূজা হয়েছে দেশটিতে। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের পাশেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ি ও রায়গঞ্জে।

করোনাভাইরাস মহামারির ভয়াল থাবা থেকে নিজেকে ও সমাজকে সুরক্ষায় যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও দূরত্ব বজায়ের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এমন ঘটনায় বিস্মিত সবাই। মূর্খতার একটা সীমা থাকতে হয় বলেও মনে করছে অনেকে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সনাতন ধর্মের পূজা-কীর্তনকারীরা সকাল থেকে উপোস করে বেলা গড়াতেই চলে যান শ্মশান এলাকায়। এরপর সেই শ্মশান চত্বরেই মাটি খুঁড়ে তার সামনে বসে লাড্ডু, লবঙ্গ এবং জবাফুল নিয়ে শুরু করেন পূজা। সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে সারি বেঁধে যেমন পূজা হয়েছে, তেমনি এই পূজা দেখতে ভিড়ও জমিয়েছে বহু মানুষ। প্রায় সমান চিত্রই ধরা পড়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ও শিলিগুড়ির রাজেন্দ্রনগরেও।

সবখানেই করোনাকে বলা হচ্ছে ‘দেবি মা’ বা হিন্দুদের ক্ষমতাশীল দেবতা। পূজার আয়োজকদের দাবি, করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে পৃথিবীকে মহামারির হাত থেকে রক্ষা করতেই পূজার আয়োজন।

কোথা থেকে এই করোনা পূজার চিন্তা মাথায় এলো, জানতে চাইলে তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলোতেও করোনা পূজা চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে তা দেখেই এই পূজা শিখেছেন তারা।

প্রসঙ্গত, করোনার বিস্তার ঠেকাতে ভারতজুড়ে চলছে পঞ্চম দফার লকডাউন। তবে এটাকে লকডাউন না বলে ‘আনলক ফেস ওয়ান’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে প্রায় সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানই খুলে দিয়েছে দেশটি। রাস্তায় নেমেছে গণপরিবহনও।

এই অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে কী ঘটবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের কপালে। এর মধ্যে করোনাকে ‘দেবী মা’ মেনে এমন পূজা বিশেষজ্ঞদের শুধু হতবাকই করছে না, ফেলছে মারাত্মক সংক্রমণের শঙ্কায়ও।

জাগো প্রহরী/গালিব

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ