গ্রীসের মেলিস্কোমেও দ্বীপ দখল করল তুরস্ক


জাগো প্রহরী : তুর্কি স্পেশাল ফোর্স একটি ঝটিকা অভিযান চালিয়ে গ্রীসের মেলিস্কোমেও দ্বীপ দখলে নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। খবর ভয়েস অফ আমেরিকার।

এই দ্বীপটি গ্রীসের ইভরোস নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। ৩১০ বর্গ কিলোমিটারের এই দ্বীপে একটি সামরিক ক্যাম্প স্থাপন করে তুরস্কের চাঁদ-তারা খঁচিত হেলালি নিশান উড়িয়ে দিয়েছে তুরস্ক।

গ্রীসের সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে দ্বীপটি দখল করে নিয়েছে বলে দাবি করছে তুরস্ক। তবে গ্রীসের দাবি, এর পূর্বেই তারা সেনা সরিয়ে ফেলেছিল।

এই দ্বীপটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল ন্যাটোভূক্ত এই দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের মাঝে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন,তুরস্ক এই দ্বীপ দখল করে ঐতিহাসিক লোজান চুক্তি লঙ্ঘন করল।

প্রসঙ্গত, আজ থেকে প্রায় একশত বছর পূর্বে ঐতিহাসিক লোজান চুক্তির মাধ্যমে আধুনিক তুরস্কের সীমা নির্ধারণ করা হয়। এই চুক্তির পূর্বে উসমানীয় আমলে গোটা দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

তুরস্কের আচমকা এই কাণ্ডে গ্রীস-তুরস্কের মাঝে নতুন করে সীমান্ত উত্তেজনা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিছুদিন পূর্বেও লিবিয়াযুদ্ধে গ্রীসের অস্ত্র সহায়তার জেরে ভূমধ্যসাগরীয় আকাশ পথে গ্রীস যুদ্ধ বিমানকে ধাওয়া করেছিল তুর্কি এফ১৬। এরও আগে গ্রীসের রাজধানী এথেন্সের আকাশে ঢু মারে তুর্কি যুদ্ধবিমান। তুরস্কের এই সকল কর্মকাণ্ডকে উস্কানিমূলক বলে আসছে গ্রীস।

এবার একধাঁপ এগিয়ে গ্রীস তুরস্কের এই কাণ্ডকে “আগ্রাসন” আখ্যা দিয়েছে।

এই মেলিস্কোমেও ছাড়াও গ্রীসের আরও বেশ কযেকটি দ্বীপ নিজেদের দাবি করে আসছে তুরস্ক। যা বিশেষজ্ঞদের মতে স্পষ্ট লোজান চুক্তির লঙ্ঘন।

সামনের দিনগুলোই বলে দিবে মধ্যপ্রাচ্যের নব্যপরাশক্তি তুরস্ক দাবিকৃত বাকি দ্বীপগুলোর ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

জাগো প্রহরী/গালিব

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ