জাগো প্রহরী : করোনা পরিস্থিতির বিশেষ এ সময়ে বদলি করা হয়েছে বিশেষায়িত দুই সরকারি হাসপাতালের পরিচালককে। অভিযোগ রয়েছে, সরবরাহকৃত এন-নাইনটি ফাইভ মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালককে ওএসডি এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের পরিচালককে পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এসব অভিযোগ সত্য নয়, নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে তাদের পদে পরিবর্তন এসেছে।
দেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে আলোচনায় এন-৯৫ মাস্ক। অভিযোগ রয়েছে, দেশের করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে এ নামে যে মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিকমানের নয়। সরবরাহ করা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ঔষধগার বিষয়টি ভুল বোঝাবোঝি দাবি করে।
তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে, সরবরাহ মাস্ক মানসম্পন্ন নয় বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আপত্তি জানানোয় দেশের দুটি সরকারি হাসপাতালের পরিচালক পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদকে পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক করে বদলি করা হয়েছে। একই কারণে মুগদা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. শহিদ মো. সাদিকুল ইসলামকে ওএসডি করে তার পরিবর্তে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আরেকজনকে। তবে, সরকারি চাকরিবিধির কারণে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তারা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা ডা, মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, আমি টেলিফোনে সরাসরি বলছিলাম। মাস্ক যেটা আছে এটা নিম্নমানের। এটা ভালো মানের না হলে আমাদের প্রটেকশন সেভাবে পাব না। এই কথাগুলো বলেছিলাম। সেগুলো মিডিয়াতে চলে গেছে।
ডা. সাদিক বলেন, গণমাধ্যমে কথা বললে এখন তো চাকরিই থাকবে না, আপনারা খুঁজে নেন। প্লিজ খুঁজে নেন।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যাখা দিয়েছে, দুই পরিচালককে সরিয়ে দেয়ার কারণ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মিডিয়া সেল) ও আহ্বায়ক হাবিুবুর রহমান বলেন, এর সাথে মাস্ক নিয়ে কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো পরিচালক বলেন যে, ডাক্তার নার্স ডিউটি করছেন না তাহলে আমরা কি বলব। তখন প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি আমাকে জানালেন করোনা পজেটিভ হয়েছে। ঠিক তখনই ১৪ দিন কীভাবে হাসপাতাল চলবে তখন একজনকে দায়িত্ব দেয়ার পরিদিন বললেন উনি নেগেটিভ।
তিনি আরও বলেন, খুলনার বিষয়টি করোনার আগেই হয়েছে। ওখানে নানা ধরনের সমস্যা ছিল।
জাগো প্রহরী/এফ আর
0 মন্তব্যসমূহ