জাগো প্রহরী : আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা শনিবার ( ২মে ) রাখাইন রাজ্যের মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে টহলরত বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ওপর চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত পোস্ট নম্বর ৪১-এর প্রায় ৪০০ মিটার দূর থেকে বিজিপির টহল দলের ওপর হামলা চালায় আরসা। এতে এক পুলিশ লেফটেন্যান্ট ও একজন কনস্টেবল আহত হয়।
বিজিপির সমর্থনে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে এলে আরসা সদস্যরা পালিয়ে যায়। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার চলতি মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে তার প্রতিবেদন দাখিল করার প্রস্তুতি নেয়ার প্রেক্ষাপটে আরসা আরো সক্রিয় হয়ে ওঠেছে।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের কাছে খা মং সেক গ্রামের আরসা ক্যাম্প থেকে ৮ এপ্রিল গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেছে।
এতে বলা হয়, ১৫ এপ্রিল খা মং সেকের কাছে আরসার চোরাগোপ্তা হামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বহনকারী দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়। আর ২৯ এপ্রিল ইমপ্রোভাইজড ল্যান্ডমাইনের পাশে মাদকসহ দুই আরসা যোদ্ধার লাশ পাওয়া যায়।
আরসা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের সামরিক চৌকিতে হামলা চালিয়ে ১২ জন নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যা করেছিল।
এর প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনী শুদ্ধি অভিযান শুরু করে। এতে করে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
ওআইসির সদস্য গাম্বিয়া রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা পরিচালনার জন্য মিয়ানকারকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করে। আদালত জানুয়ারিতে চারটি অন্তর্বর্তীমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আদেশ দেয় মিয়ানমারকে।
এতে মিয়ানমারকে নির্দেশ দেয়া হয় ভবিষ্যতে যাতে গণহত্যা না হয় তেমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে, সামরিক ও এর শাখা সংস্থাগুলো যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো গণহত্যায় অংশ না নেয়, গণহত্যার সব আলামত রক্ষা করা এবং এসব পদক্ষেপের ব্যাপারে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য প্রদান করে।
চলতি মাসের শেষ দিকে প্রথম প্রতিবেদনে দেয়ার কথা। মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস পরপর প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে মিয়ানমারকে।
সূত্র : দি ইরাবতী
জাগো প্রহরী/ফাইয়াজ
0 মন্তব্যসমূহ