জাগো প্রহরী : করোনা ভাইরাস সৃষ্ট বৈশ্বিক বিপর্যয়ে উচ্চবিত্ত ব্যতীত সকল শ্রেণি-পেশার মানুষই অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত। এমতাবস্থায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিম্নবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রদের পড়াশোনার খরচের অন্যতম উৎস টিউশনিও বন্ধ হয়ে আছে। অন্যদিকে অধিকাংশ অভিভাবকের আয়ের উৎসও বন্ধ। একারণে তাদের পক্ষে মেস ভাড়া চালিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া মওকুফে শিক্ষামন্ত্রীর পদক্ষেপ নিতে হবে ৷
আজ সোমবার ( ৪ঠা মে ) এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আবদুল জলিল ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ডিগ্রি কলেজের সংখ্যা সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দুই হাজার ২৪৯। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৪৫টি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৩টি। এ ছাড়া মাদরাসায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাক্রম রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি ৭৭০টির মতো কলেজে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম ১৪৫টি কলেজে রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই স্নাতক, স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩৭ হাজার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন ধরনের সরকারি-বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ লাখের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
তারা আরও বলেন, এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক আবাসন ব্যবস্থা খুবই ভয়াবহ। ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের জন্য নেই আবাসিক হল। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বাধ্য হয়েই তাদের প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া মেসে বসবাস করতে হয়। যা আমাদের উচ্চ শিক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের প্রতি সরকারের চরম অবহেলার বহিঃপ্রকাশ।
অতএব শিক্ষার্থীদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিতে তাকিয়ে মেস ভাড়া মওকুফ করা না হলে মেসের ভাড়া চালানো অধিকাংশ পরিবারের পক্ষেই সম্ভব হবেনা। ফলে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়বে।
এমতাবস্থায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা দেশের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মেস মালিকদের মেস ভাড়া মওকুফের ব্যাপারে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়কে অতি দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।
জাগো প্রহরী/এফ আর
0 মন্তব্যসমূহ